Jagannath – Haranath at Sri Kshetra Puridham | Welcome to KusumHaranath World

1. First Incident :

SRI SRI THAKUR HARANATH’S DIAMOND JUBILEE CELEBRATIONS, 1925 AT PURI.

PANDA-BHOJAN INCIDENT

By Hari Prasad Chakravarty

[M.A. L.L.B.; Gold Medalist, Advocate], Ranchi

(Sri Dharmadas Mukherjee, son of Sri Nanda Baba and Yashoda Ma and father of my mother Smt. Radha Rani Chakravarty was an eye-witness to the occurrence. He was young and a sincere devotee of the Lord and had narrated the entire incident to us.)

The diamond jubilee (60th) birth anniversary of Thakur Haranath was being celebrated at Puri. There was an exceptional gathering, Thousands of devotees were looking at Thakurji and Thakurji Himself was watching thousands of His devotees at the same time.

Thakurji said that He would like to entertain all the Pandas of Puri at a great feast and had the Ashram Panda called in for the purpose. Pandaji asked for an exorbitant sum as expenses. They were all astounded and Thakurji said to Pandaji gently, “Baba, I have raised you to a high order; you yourself know it; others say Haranath is a poor fellow (Kangal). Perhaps that is why you have slighted me. If there be no feast to the Pandas, I must, of course, put up with it. It is all my misfortune.” But then suddenly changing His tone and manners. He said, “You see before you the boundless ocean, the receptacle of various treasures. Know that if Haranath wishes He can raise innumerable treasure from this ocean and lay them at your feet. He, at whose feet Munis and Rishis bend their heads, bends his head low at your feet, but you remain unmoved. Just wait and see if at the call of Haranath all the Pandas as well as Jagannath Himself do not gladly come and accept this Invitation of Haranath.” While saying this He looked at the temple of Jagannath (the top of which could be seen from the Ashram). An indescribable lust’e came out of His eyes, His face and other parts of His body. By seeing this the Panda got very much afraid and with folded hands said to our Lord Haranath, “I know that you are a Mahapurusha”. Then our Thakurji became very much angry and said, “I am not a Mahapurusha. Do you know how many Mahapurushas spring up from me ? One of my eyes is Lakshmi and another is Shani”. Then He turned to Pandaji again and said, “You are always looking at the front but you never turn your head and see what is coming up from behind you and about to claim you as his own”. There was a great change in the Panda Thakur. He approached Haranath and said with folded hands, “I shall not take even a single piece from you. I shall bear all the expenses and arrange for the entertainment of the Pandas”. With Haranath’s permission he then left the spot to making the necessary arrangements.

Thakur ordered Babu Dwijendra Nath Bose, Rai Saheb Akshoy Kumar Gupta and Jugmohan of Bombay (all members of the Calcutta Sabha) to raise the fund and within half an hour a sum of Rs. 2,000/- was collected and placed at Thakur’s feet, just the sum that Pandaji had asked for in the beginning. The day after, Jagannath Dev was to return from Gundicha Bati to His own temple a rich man had arranged that the cost of the first Bhoga (meal) that Jagannath would take that day on entering the temple would be borne by him. They tried much in accompaniment with our Pandaji to get the privilege of arranging for that first meal but it was to no purpose. Thakurji had wished that Jagannath’s first meal on His return to the temple would be given by Him, but it was impossible to make that arrangement. All that they could do was that the first meal next day (the second day) would be arranged by Ashram. Strange to say, the first day that Jagannathji returned from Gundicha Bati to His own temple there was a hot altercation among the Pandas in charge of the temple and Jagannathji had to remain in His Rath (Car) outside the temple the whole day and the night. He entered the next day (the second day) and as previously arranged the cost of the first meal was borne by the Ashram.

Jaya Sri Kusum Haranath

1. Second Incident :

Revelation by our Beloved Lord Sri Haranath during Atharobari Janmotsava, in 18th Ashar 1330 B.S. corresponding to 2nd July 1923, that Sri Haranath and Sri Jagannath are inter changeable.

While the janmotsava was going on, Sri Haranath managed to shut himself in a hall with all doors and windows closed. He gave strict orders that nobody should enter the hall or in any way attempt to see him until He came out himself. Everybody became surprised because during a festival He never did like that. After ten minutes the Kirtan Parties were singing Jaya Jagannath instead of Jaya Haranath with unknown emotion and reason. In spite of Sri Haranath’s instruction, Smt. Tamalini Ma entered the hall and quickly stopped out when she found the image of Lord Jagannath of Puri in there in place of Sri Haranath.

After the finishing of worship of Sri Haranath a telegram came from Puri Ashram by Tahal and Jyotish Baba to Thakurji “Thakur where were you today at the time of Puja of Atharobari or Puri ?” Thakur at once replied, telegraphically “I am at Puri too.”

As our Beloved Lord Sri Haranath had given permission to celebrate his Janmotsava both of Atharobari and Puri and this inference can be drawn that there is no deference between Sri Haranath and Sri Jagannath and both are one and the same Manifestation of the Supreme Lord Sri Krishna and Sri Krishna Chaitanya.

Jaya Sri Kusum Haranath

১. প্রথম ঘটনা

১৯২৫ খ্রীষ্টাব্দে পুরীতে অনুষ্ঠিত শ্রীশ্রীঠাকুর হরনাথের হীরক জয়ন্তী উৎসব

পাণ্ডা ভোজন

হরিপ্রসাদ চক্রবর্ত্তী

এম. এ., এল. এল. বি. (গোল্ড মেডেলিস্ট এড্‌ভোকেট)

(শ্রী নন্দবাবা ও যশোদা মায়ের পুত্র এবং আমার মা শ্রীমতী রাধারাণী চক্রবর্ত্তীর পিতা শ্রী ধর্মদাস মুখোপাধ্যায় এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। ইনি ছিলেন ঠাকুরের একনিষ্ঠ যুবক ভক্ত। ইনি আমাদের নিকটে এই সমস্ত ঘটনা বিবৃত করেছিলেন।)

ঠাকুরের ৬০তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে ভক্তগণ এই সিদ্ধান্ত নেন যে, এবারের জন্মোৎসব পালিত হবে ঠাকুরের প্রিয়স্থান পুরীধামে। সেই উপলক্ষ্যে সকল ভক্তবৃন্দসহ ঠাকুর পুরীধামের আশ্রমে এসে উপস্থিত হন। জন্মোৎসবের এই আনন্দধারায় স্নাত হতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত সমবেষ্টিত হয় এই পুরীধামে। অন্যান্য জন্মোৎসব অপেক্ষা এইবারের ভক্তের সংখ্যার অধিক বৃদ্ধি হয়েছে।

যথারীতি সেইদিন সন্ধ্যেবেলা পুরীর “হরনাথ অনাথ আশ্রম’-এ ঠাকুরের জন্মোৎসব অনুষ্ঠান শুরু হল। ঠাকুর সেখানে হাজার হাজার ভক্তের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে জন্মোৎসব পালন করছেন এবং ভক্তগণও তাদের হরনাথকে নিকটে পেয়ে আনন্দধারায় স্নাত হচ্ছেন। এই উৎসবে ঠাকুর পুরীর পাণ্ডা ভোজনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে ভক্তগণ পরের দিন তার আয়োজন করেন এবং পুরীর সকল পাণ্ডাগণ সেই আশ্রমে আমন্ত্রিত হন। সেই পাণ্ডাদেরই মধ্যে একজন পান্ডা ঠাকুরের প্রতি খানিক বিরূপভাবাপন্ন হন; কারণ সেই দিনই কোন একজন রাজা ও জমিদার পাণ্ডাভোজন বাবদ দশ হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিলেন (যদিও সেইদিন তাদের এই পাণ্ডাভোজন অনুষ্ঠিত হয় নি); সেইস্থানে ঠাকুর পাণ্ডাভোজন বাবদ মাত্র দুই হাজার টাকা বরাদ্দ করেছেন। এই বিষয়েই সেই পাণ্ডা ঠাকুর হরনাথের নিকটে এসে কটাক্ষ ভরে তাঁর এইরূপ ব্যবস্থার কারণ জান্‌তে চাইলেন। ঠাকুর তখন শান্তকোমল কণ্ঠে বললেন,

“বাবা! তুমি জানো যে আমি চাইলে তোমায় অনেক দূর নিয়ে যেতে পারি। সকলে বলে হরনাথ গরীব, তাই তুমি এইভাবে আমায় অপমান করছ। যদি এখানে পাণ্ডাভোজন অনুষ্ঠিত না হয় তবে তাই আমায় মেনে নিয়ে হবে, এটা আমার দুর্ভাগ্য।”

এরপর তিনি সহসা দীপ্তকণ্ঠে বলে উঠলেন,

“তুমি তোমার চোখের সম্মুখে মণিমুক্তায় পরিপূর্ণ যে মহাসমুদ্র দেখতে পাচ্ছ, হরনাথ যদি চায়, তবে সমুদ্র হতে অনন্ত সম্পদ তুলে তোমার চরণে এনে ফেলতে পারে। যার পায়ে মুণি-ঋষিরা পর্যন্ত্য মাথা নোয়ায়, তাঁর প্রতি তোমার এতটুকু দয়া হল না? দেখ, হরনাথের একটা ডাকে যদি সমস্ত পাণ্ডাগণ এসে উপস্থিত হতে পারে, তবে স্বয়ং জগন্নাথও হরনাথের নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারবেন না।”

এই কথা বলে হরনাথ জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করলেন এবং তখন তাঁর চোখ, মুখসহ সমস্ত শরীর হতে একটি অদ্ভুত জ্যোতি বিচ্ছুরিত হতে লাগল। হরনাথের সেই রূপ দর্শন করে সেই পাণ্ডা ভীতসন্ত্রস্ত হলেন এবং জোড়হাতপূর্ব্বক হরনাথে উদ্দেশ্যে বললেন, “আমি জানি আপনি একজন মহাপুরুষ।” এই কথায় ঠাকুর হরনাথ অত্যধিক রাগান্বিত হয়ে বললেন,

“আমি কোন মহাপুরুষ নই। লক্ষ লক্ষ মহাপুরুষ আমা হতে জন্মলাভ করেছে। আমার এক চক্ষে লক্ষ্মী ও অপর চক্ষে সাক্ষাৎ শনি অবস্থান করেন। তারপর তিনি সেই পাণ্ডা মহাশয়ের দিকে ফিরে বললেন,

“তুমি সকল সময় সম্মুখে দেখ, কিন্তু কখনই নিজের পশ্চাতে ফিরে দেখো না যে, একজন সবসময় তোমায় অনুসরণ করে এবং তোমাকে নিজের বলে দাবী করে।”

এরপর হতে সেই পাণ্ডাঠাকুরের মনোভাবে এক অদ্ভুত পরিবর্ত্তন দেখা গেল। তিনি ঠাকুরের নিকটে এলেন এবং করজোড়ে বললেন, “আমি আপনার থেকে একটি পয়সাও নিতে পারব না। আমি নিজে এই পাণ্ডাভোজনের অর্থভার গ্রহণ করব।” এরপর তিনি হরনাথের আদেশে সেখান থেকে প্রস্থান করে পাণ্ডাভোজনের জন্য সকলরকম ব্যবস্থা করতে সচেষ্ট হলেন।

ঠাকুর ভোগের জন্য অর্থ সংগ্রহের আদেশ দিয়েছিলেন দ্বিজেন্দ্রনাথ বসু, রায়সাহেব অক্ষয়কুমার গুপ্ত এবং বম্বের জগমোহনকে (এঁরা সকলেই কলিকাতা সভার সদস্যবৃন্দ) এবং আধঘন্টার মধ্যেই দুই হাজার টাকা তাদের কর্তৃক সংগৃহীত হয় ও তা ঠাকুরের চরণে নিবেদিত হয়। এই স্বল্প পরিমাণ টাকার কথাই সেই পাণ্ডাঠাকুর প্রথমে জিজ্ঞেস করেছিলেন। পরদিন জগন্নাথদেব গুন্ডিচা বাটী থেকে আসবেন তাঁর নিজের মন্দিরে; সেই কারণে এক ধনী ব্যক্তি জগন্নাথদেবের ভোগের ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তার ইচ্ছে ছিল যে, জগন্নাথদেব যখন প্রথম তার মন্দিরে প্রবেশ করবেন, তখন তিনি তার অর্পিত ভোগই যেন প্রথম গ্রহণ করেন। তারা আমাদের পাণ্ডাঠাকুরের মাধ্যমে জগন্নাথকে তাদের দেওয়া ভোগ প্রথমে খাওয়ানোর জন্য খুবই চেষ্টা করে; কিন্তু তাতেও কোন ফল হয় নি। কারণ ঠাকুর হরনাথের ইচ্ছা ছিল যে, জগন্নাথ যখন প্রথম তাঁর মন্দিরে প্রবেশ করবেন, তখন তাঁর প্রথম ভোগ তিনি নিজে হাতে তাঁকে নিবেদন করবেন; কিন্তু এই কার্য্য সম্ভবপর ছিল না।

পরের দিন আশ্রম হতে জগন্নাথের ভোগের ব্যবস্থা করা হল। ভাবতে অবাক লাগে যে, প্রথম দিন জগন্নাথ যখন গুণ্ডিচা বাটী থেকে তাঁর মন্দিরে ফিরছিলেন, সেইসময় পাণ্ডাদের মধ্যে এক চরম বাদানুবাদের সৃষ্টি হয়। সেই কারণে প্রথম দিন জগন্নাথের মন্দিরে আর প্রবেশ হল না; তিনি সমস্ত দিন-রাত মন্দিরের বাইরে রথের মধ্যে অবস্থান করলেন। পরের দিন তিনি মন্দিরে প্রবেশ করলেন এবং পূর্ব কথা অনুযায়ী আশ্রমের প্রস্তুত ভোগই তিনি প্রথম গ্রহণ করলেন।

~জয় শ্রীকুসুমহরনাথ~

*******

১. দ্বিতীয় ঘটনা

১৩৩০ বঙ্গাব্দের ১৮ই আষাঢ় (২রা জুলাই, ১৯২৩) অনুষ্ঠিত ঠাকুরের আঠারোবাড়ী জন্মোৎসবের মুহূর্ত্তে ঠাকুর ও জগন্নাথ একে অপরের মধ্যে অন্তর্হিত হওয়া।

আঠারোবাড়ীতে যখন জন্মোৎসব পালিত হয়, সেই মুহূর্ত্তে ঠাকুর জানালা-দরজা বন্ধ একটি ঘরে নিজেকে আবদ্ধ করে নেন এবং কঠোর আদেশ দেন যে, যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি দরজা না খোলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন কেউ সেই ঘরে প্রবেশ না করে বা কেউ যেন কোনোভাবেই তাঁকে দেখার চেষ্টা না করে। এই দেখে সকলেই তখন হতভম্ব হয়ে পড়ল; কারণ এর পূর্বে ঠাকুর কখনই এইরূপ আচরণ করেন নি। দশ মিনিট পর যখন কীর্ত্তনীয়াগণ কীর্ত্তন আরম্ভ করলেন, সেই সময় দেখা গেল যে, তারা অকারণবশতঃ ভাবে বিভোর হয়ে ‘জয় হরনাথ জয়’ গাওয়ার স্থানে ‘জয় জগন্নাথ জয়’ কীর্ত্তন করছেন। তমালিনী মা ঠাকুরের আদেশের পরোয়া না করে সেই ঘরে প্রবেশ করতে গেলেন, যে ঘরে ঠাকুর নিজেকে আবদ্ধ করে নিয়েছিলেন। তিনি ঘরের দ্বার খুলেই ভিতরে আর প্রবেশ করতে পারলেন না; কারণ তিনি দ্বার খুলেই দেখলেন হরনাথের স্থানে জগন্নাথদেব প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছেন।

আঠারো বাড়ীতে হরনাথের জয়গান সমাপ্ত হলে পর পুরী আশ্রমের টহলবাবু ও জ্যোতিবাবু ঠাকুরকে এই বলে একটি পত্র পাঠালেন—“বাবা ! আপনি আজ উৎসবের সময় কোথায় উপস্থিত ছিলেন—আঠারো বাড়ীতে না পুরীতে?” তৎক্ষণাৎ ঠাকুর পত্রের মাধ্যমে তাদের উত্তর পাঠান, “আমি পুরীতেও উপস্থিত ছিলাম।”

যেহেতু ঠাকুর আঠারো বাড়ী ও পুরী—দুটী স্থানেই জন্মোৎসব পালনের আদেশ দিয়েছিলেন, তাই তিনি দুটি জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এই ঘটনার দ্বারা অপর একটি ব্যাপার আমাদের সম্মুখে আসে, সেটী হল এই—জগন্নাথ ও ঠাকুরের মধ্যে যে কোনো তফাৎ নেই এবং তাঁরা উভয়েই শ্রীভগবানে অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের এক ও অভিন্ন রূপ।