Question Answer Period With the Devotees (2)

Helping God :

One afternoon Sree Sree Thakur was seated at Nandan Bagan. Various persons came to see Him and hear the words from His holy mouth. At such a time a person desirous of knowing the truth said, “Father, God is bearing the burden of this entire world, is giving food to every one, then what have I to do in this? Are we able to take any charge of the world?” Thakur smiled and answered, “Yes father, everything you say is right, He is doing everything; what power have we to bear even an atom of this burden? But, suppose, to maintain your family you are entering your house with a sweated body and bearing a huge load upon your head when your little five-year old child, seeing you from a distance to come in that condition affectionately says, “Father, give your load to me, let me carry it.” In that case what do you do? You never put that heavy load upon his head, not only that load remains on your head but you take up that boy in your arms also and affectionately kiss his face. Similarly, father, whenever we proceed to do any work of this world thinking it to be beneficial to jivas, that very moment God comes and takes us up in His arms and keeping us in front He Himself performs that work. When Krishna lifted the Govardhana hills to protect Gokula, His companions, the cowherd boys thinking that Krishna might have difficulty in holding aloft those hills, came running out of affection and proceeded to put their respective sticks under the bottom of the hills with a view to helping Krishna. But Krishna did not allow them to do that, He said “Brothers, you have no fear, with a heart unconcerned take rest under it; I alone am holding it.” Only if God is loved, He takes all charge of us. It is Krishna who is the worker of all works, but we, rendering little helps as tokens of our love, become gratified.

Bhakti and Knowledge :

Once a devotee asked Thakurji “Baba between bhakti (devotion) and Jnana (knowledge) which is superior? Which path is better for us?” Thakurji replied, “what is superior and what is inferior, I don’t know Baba. But I can unhesitatingly tell you that Bhakti Marga is most suited for all of us and is the best. I know Bhakti to be pure love only. Those who contend Bhakti to be showing benevolence and honoring a person (sanman) – according to me this path doesn’t lead one to ‘Premamoy’ (i.e. Krishna). However it is only the path of pure love that leads one to Him. Look, when we look at the vast ocean we at first feel delighted at its waves. To say that on seeing the tides – it is not proper for one (meaningless) to say that he likes the ocean and he has full knowledge of the ocean. Afterall what do we know about the vastness of the sea and about its depth too? What do we know about the treasure hidden in its womb and also about the aquatic life? It is not possible – infact beyond the comprehension of the mortals to say that they understand everything about the sea. Similarly if I say I have knowledge of God (the fountainhead of all seen and unseen) this expression of mine will tantamount to a myth. Just as one has not full knowledge of veda or vedanta we can’t speak about the same but the same gets hidden in the hearts only and leave it – that which can’t reveal fully how can we express about it in full? Sitting amidst things of beauty in creation and enjoying the same with complete awareness of such beautiful things – if one says God the Supreme Personality is “Nirguna – Nirakara – Niranjana Brahma” this pronouncement neither I cherish nor I accept. The above opinion I have rejected bearing my views on the essence of Bhagavat. Thus I firmly believe that keeping pure love towards Him, taking His name continuously and acting in faith I definitely can say one day or the other, one reaches Him. To one who acts in this way, one day he will fill the heart of that person and no doubt he will have His darshan (vision) too. My name is the same throughout my life but my personality through the age process changes from childhood, adolescence – adulthood and old age. But it is not the case with the personality of the Lord. It remains the same throughout. If you really crave to see the Lord while leading this worldly life at first Maya – the handmaid of the Lord will strike you. It makes you forget Him throughout as it is His handmaid. Maya can do everything except bringing the Lord before you. It doesn’t have the courage to bring the Lord before you. If Maya is convinced that you are taking Lord’s name and you don’t desire anything in this world – to this state of mind of yours, Maya gets bound and enables you to finally reach the kingdom of God. So leave the path of knowledge. Tread the path of Nam-Jap-get deeply immersed in this ocean so that you will finally inherit the great wealth lay hidden in the ocean. Thereafter you need not try for anything. Gouranga – Karuna (mercy) – Avatar; Nityanand anger free Avatar both of them will be by our side then. [Jagai-Madhai to kill them Gouranga calls Sudarshan – Nityanand touches the feet of Gourang and says this is not the time either to lift the bow and arrow or deploy Sudarshan to kill sinners – but it is time to win over the people through pure love). When both Nitai and Nimai are with us we need not contemplate or think of anything. When Nitai had come to bestow on us the priceless and eternal “chintamani” and when it is in our hands we will attain the stage of desirelessness. Before this supreme state of mind- jnana trishna (desire for knowledge) is too small. Gour is not short of education and wisdom. He had shone as a beacon-light and is the personification of these two qualities blended into one in Nabadweep and entire Bharat. But leaving the path of knowledge why did he tread the path of Bhakti taking the Lord’s name as “Ha Krishna – Ha Krishna” and went to each house through the streets?”

“Helping God” is collected from the book, Lord Haranath – Antya Leela (Vol-3, Part-2), Written by A. Ramkrishna Sastry (1973) and “Bhakti and Knowledge” is collected from the book, Haranath Smriti English Translation, Translated by Vrudhula Subba Rao of Nagpur.Oroginal Source of the both content is from the book “Haranath Smriti-4th Lahari” narrated by Narayan Chandra Ghosh. The title “Helping God” is given by Haragopal Sepuri and The title “Bhakti and Knowledge” is given by Haragourab Mallick. Both titles are not in the original “Haranath Smriti” Book.

আমরা ভগবানের কার্য্যে কিভাবে সহায়তা করব –

শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন বৈকালে নন্দন বাগানে বসিয়া আছেন। তাঁহার দর্শন লালসায় ও শ্রীমুখের বাণী শুনিবার জন্য নানালোক উপস্থিত হইয়াছেন। সকলেরই ইচ্ছা ঠাকুর কিছু বলেন; এমন সময়ে তত্ত্বজিজ্ঞাসু এক ব্যক্তি বলিলেন, “বাবা, ভগবান তো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ভার বহন করিতেছেন, সকলেরই অন্ন সংস্থান করিতেছেন, তবে ইহার মধ্যে আমাদের করিবার কি আছে? আমরা কি জগতের কোন ভার লইতে সমর্থ?”

ঠাকুর হাসিয়া উত্তর করিলেন, “হ্যাঁ বাবা, তুমি যাহা বলিতেছ সবই ঠিক; তিনি সবই করিতেছেন; আমাদের কি সাধ্য যে এইভারের কণামাত্রও বহন করি! তবে, মনে কর, তুমি তোমার সংসার প্রতিপালন করিবার জন্য মাথায় একটি প্রকান্ড মোট বহন করিয়া ঘর্মাক্ত কলেবরে বাটী প্রবেশ করিতেছ এমন সময় তোমার ছোট পাঁচ বৎসর বয়স্ক শিশু দূর হইতে তোমাকে ঐ অবস্থায় আসিতে দেখিয়া সস্নেহে বলিল, “বাবা মোটটি আমাকে দাও, আমি বহিয়া লইয়া যাই।” তাহা হইলে তুমি কি কর? তুমি তাহার মাথায় ঐ ভারী মোট কখনই চাপাইয়া দাও না ;ঐ মোট তোমার মাথায় থাকেই অধিকন্তু তুমি ঐ বালককে কোলে উঠাইয়া লও এবং সস্নেহে তাহার মুখচুম্বন কর। তেমনি বাবা যে মুহূর্তে আমরা জীবের হিতকর মনে করিয়া এই জগতের কোন কাৰ্য্য করিতে অগ্রসর হই, সেই মুহূর্তে শ্রীভগবান আসিয়া আমাদিগকে কোলে তুলিয়া লয়েন এবং আমাদিগকে উপলক্ষ্য রাখিয়া নিজেই সেই কাৰ্য্য সমাধান করেন। কৃষ্ণ যখন গোকুল রক্ষা করিবার জন্য গোবর্ধন ধারণ করিয়াছিলেন, তাঁহার সঙ্গী রাখালবালকগণ পাছে কৃষ্ণের উহা ধারণ করিতে কষ্ট হয় ভাবিয়া স্নেহবশতঃ ছুটিয়া আসিয়া কৃষ্ণকে সাহায্য করিবার উদ্দেশ্যে আপন আপন পাঁচনী পৰ্বততলে ঠেকা দিতে গিয়াছিল। কিন্তু কৃষ্ণ তাহা করিতে দেন নাই ; তিনি বলিয়াছিলেন, “ভাই সকল, তোমাদের কোন ভয় নাই ; তোমরা নিশ্চিন্ত মনে ইহার তলায় বিশ্রাম কর ; আমি একাই ইহা ধারণ করিতেছি।” ভগবানকে ভালবাসিলেই তিনি আমাদের সমস্ত ভার লয়েন। কৃষ্ণই সকল কাজের কাজী, তবে আমরা ভালবাসার নিদর্শনস্বরূপ সামান্য সাহায্য করিয়া কৃতার্থ হই।”

ভক্তি বড় না জ্ঞান বড় –

আরও এক সময়ে, কোন একজন ঠাকুরকে প্রশ্ন করিলেন, “বাবা, ভক্তি বড় না জ্ঞান বড়? কিসে আমাদের শ্রেয়ঃ হয়?” ঠাকুর হাসিয়া উত্তর করিলেন, “বাবা, ছোট বড় আমি জানি না, বুঝি না ও বুঝিবার চেষ্টাও করি না; তবে এই পৰ্য্যন্ত বলিতে পারি আমাদের মত লোকের পক্ষে ভক্তিমার্গই ভাল ও সহজসাধ্য। ভক্তি অর্থে আমি ভালবাসাই বুঝি, যদিও ভক্তি করা অর্থে সমীহ বা সম্মান করাও বুঝায়। কিন্তু ঐরূপ ভক্তি আমাদিগকে প্রেমময়ের নিকট লইয়া যাইতে পারে না। একমাত্র ভালবাসাই আমাদিগকে তাঁহার নিকট লইয়া যায়। দেখ না, অনন্তলহরীবিশিষ্ট প্রতিমূহূর্তে নূতন সমুদ্র আমার কত ভাল লাগে ; কিন্তু যদি আমি বলি যে আমি সমুদ্রকে জানি তাহা হইলে আমার কথা কতদূর অর্থযুক্ত হয় তাহা সহজেই বুঝিতে পার! সমুদ্রের আমি কি জানিব? তাহাতে কত ধন রত্ন লুক্কায়িত আছে – কত হাঙর কুম্ভীর তিমিঙ্গিল প্রভৃতি বিচরণ করে – তাহার কি কোন তত্ত্ব আমি অবধারণ করিতে পারি? সেই অগাধ অনন্ত সমুদ্রের ইয়ত্তা করা সামান্য জীবের পক্ষে কখনও সম্ভবপর হইতে পারে না। তেমনই বাবা, আমি যদি বলি যে ভগবানকে আমি জানিব বা জানিয়াছি তাহা হইলে আমার কথা সেইরূপ মিথ্যা হইবে। বেদ বেদান্ত এ পর্যন্ত যাঁহার ইয়ত্তা করিতে পারে নাই – যাঁহাকে “অবাঙ্‌মনসগোচরম্‌” বলিয়া ছাড়িয়া দিয়াছে – আমি কিরূপে তাঁহার ইয়ত্তা করিব? যাঁহার একাংশে স্থান পাইয়া এই জগৎ এত সুন্দর ও মধুর হইয়াছে তাঁহাকে প্রাণের সহিত ভাল না বাসিয়া “অরূপ ও নির্গুণ” বলিয়া যাহারা ছাড়িয়া দিতে বলে তাহাদের কথায় আমি আস্থা স্থাপন করিতে পারি না। ভাগবতের কথা সার করিয়া “স্থূলতুষাবঘাতিনঃ” বোধে তাহা পরিত্যাগ করিয়াছি। যদি অন্তরে তাঁহাকে ভালবাসিয়া কেবল মাত্র তাঁহার নাম আশ্রয় করিয়া তাঁহার নিকট পৌঁছিবার চেষ্টা করি, একদিন না একদিন আমার চেষ্টা নিশ্চয় সফল হইবে। নাম ধরিয়া তাঁহার সন্ধান করিলে তিনি নিশ্চয়ই ধরা দিবেন, তাঁহার রূপ আমার দর্শনে আসিবে। তোমার আমার নাম ও রূপে প্রভেদ আছে, কেন না আমাদের নাম যদিও এক থাকে তথাপি আমাদের রূপ বয়সের সহিত পরিবর্তিত হইয়া যায়। বাল্যের আমি আর যৌবনের বা বার্ধক্যের আমি দেখিতে এক রূপ নহি। কিন্তু ভগবানের তো তা হয় না; তিনি অপরিবর্তনশীল; তাঁর নাম রূপে কখনও প্রভেদ হয় না। এ মায়ার রাজত্বে যদি বাস্তবিক ভগবানের জন্য তোমার প্রাণ কাঁদে এবং সংসারে থাকিয়াও তুমি অহরহঃ তাঁহার নাম করিতে থাক তাহা হইলে মায়া তোমাকে প্রথমে নানারূপ প্রলোভন দেখাইয়া ভুলাইবার চেষ্টা করিবে। মায়া তো ভগবানের দাসী ; মায়া সব পারে কিন্তু তাঁহার প্রভুর রূপ ধরিয়া জীবকে ভুলাইতে পারে না, সে সাহস তাহার নাই। মায়া যখন দেখিবে তুমি কেবলই ভগবানের নাম করিতেছ, আর কিছু চাহ না, তখন সে বাধ্য হইয়া তোমাকে তাঁহার রাজত্বে পৌছাইয়া দিবে। আমি বলি জ্ঞানচর্চা ছাড়িয়া দিয়া তুমি কেবল তাঁহার নাম করিতে থাক— নাম সমুদ্রে ডুব দাও —তলাইতে পারিলেই রত্ন আপনি আসিয়া তোমার হাতে উঠিবে; তোমাকে আর চেষ্টা করিতে হইবে না। যখন আমাদের গৌর করুণার অবতার হইয়া আসিয়াছেন এবং যখন অক্রোধ পরমানন্দ নিতাইচাঁদ আমাদের সহায় তখন আমাদের বিচার করিবার আর কি আছে? সেই অমূল্য চিন্তামণিরত্ন আমাদিগকে হাতে হাতে সঁপিয়া দিবার জন্যই নিতাই আসিয়াছেন, আর সেই রত্ন একবার করতলগত হইলে জীবের আর কোনই তৃষ্ণা থাকে না; জ্ঞানতৃষ্ণা তো সামান্য কথা! বাবা, গৌরের বিদ্যাবুদ্ধি কিছু কি কম ছিল? তিনি তো নবদ্বীপে বিদ্যাসূৰ্য্য উদয় ক’রে সমস্ত ভারতবর্ষ এক সময় আলোকিত করেছিলেন! তবে কেন তিনি সেই বিদ্যার গরিমা ছেড়ে দিয়ে “হা কৃষ্ণ! হা কৃষ্ণ!” ক’রে লোকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন!”

**হরনাথ স্মৃতি – চতুর্থ লহরী হইতে সংগৃহীত (লেখক — শ্রী নারায়ন চন্দ্র ঘোষ, কলিকাতা); শিরোনামগুলি ওয়েবসাইটে প্রদান করা হয়েছে বোঝার সুবিধার্থে, এগুলি পুস্তকে উল্লেখ নাই।

জয় হরনাথ জয় কুসুমকুমারী জয়

Jai Haranath Jai Kusumkumari Jai