
Early Experience of Ramaprasad Ghosh
(Baghbazar, Chandan Nagar)
Rama Prasad is the son of Tara Prasad Gosh and younger brother of Tamalini Ma. Rama Prasad used to attend Sankirtan on every Saturday along with his father. When he was 13 years old, he felt an urge to see God. Before going to bed, he used to pray to God to appear before him. One day he wept on and on and fell asleep. On that day in the dream, he saw a wonderful splendorous figure of Haranath smiling at him. He said, “Do not be distressed. I am coming soon.” Rama Prasad started thinking always of that figure only. A letter from Haranath came, stating, “Father, do not be anxious, I am always near you. Take Name, do not forget, and mind your lessons. Whenever you get leisure take Krishna’s Name instead of indulging in vain plays.” Rama Prasad used to read that letter several times a day. Days passed. One Saturday when Nama Sankirtan was going on in his house, Rama Prasad was overwhelmed with emotion. At that time he saw Haranath dancing in the midst of the Sankirtan party. He rushed forward to catch Him but fainted. When he regained consciousness, he heard the devotees remarking that on that day they had such a joy as though Lord Himself participated in the Sankirtan. Rama Prasad was convinced that what he saw was not an illusion.
Some days later, he received a letter from Haranath, stating “Last Saturday I had great joy in the Sankirtan. May the Lord ordain that you become victorious with Name and float in the bliss of love!”
**Collected the story from the book : “Haranath – The Deliverer of Mankind” by Sri Haragopal Sepuri (Chennai)
রমাপ্রসাদ ঘোষ মহাশয় এর অভিজ্ঞতা থেকে
রমাপ্রসাদ ঘোষ ছিলেন তারাপ্রসাদ ঘোষ মহাশয় এর পুত্র এবং তমালিনী মা এর বড় ভাই।
সিমলা পাহাড়ের কালীবাড়ীতে তখন প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার নাম সংকীর্তন হইত। আমিও বাবার সহিত সেই কীর্ত্তনে যাইতাম এবং আনন্দরস পান করিতাম। সে এক অনির্ব্বচনীয় আনন্দ। এখনও সে কথা মনে হইলে হৃদয় আনন্দে ভরিয়া যায়।
এইরূপে নাম করিতে করিতে ও শুনিতে শুনিতে প্রাণে কেমন এক খেদ আসিল – “প্রভু তো কই আমাকে দেখা দিলেন না”। প্রত্যহ রাত্রে যখন শুইতাম তখন কত ডেকে ডেকে ঘুমাইয়া পড়িতাম। আশা করিতাম ‘আজ বোধহয় দেখা পাব’। কিন্তু সে আশা পূরিত না!
একদিন বড়ই কাতর হয়ে ডাকতে ডাকতে ও কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়ি। (স্বপ্নে) দেখি প্রভুর এক অপূর্ব জ্যোতিঃ – সে জ্যোতির তুলনা কি দিব ভাবিয়া পাই না – সে এক অপূর্ব মূর্ত্তি। আমার দিকে চেয়ে চেয়ে হাসিতেছেন ও বলিতেছেন, ‘কাতর হইও না; শীঘ্রই আসছি’।
সেই অবধি উঠিতে বসিতে, চলিতে ফিরিতে সদাই সেই মোহন মূরতি হৃদয়ে জাগিতে লাগিল। পড়াশুনার দিকে আর মন দিতে পারিলাম না। কেবল সেই মুখখানি ভাবি, আর মনে হয় আর একবার দেখা পাব না! এমন সময়ে ঠাকুরের এক পত্র আসিল; লিখিয়াছেন, “বাবা, এত ভেব না! আমি সদাই তোমার কাছে আছি। নাম কর, ভুল না, পড়াশুনা করিও; যখন সময় পাবে বাজে খেলা না করিয়া কৃষ্ণনাম করিও।” আমি কিন্তু লেখাপড়ায় আর মন দিতে পারিলাম না; সেই রূপ, সেই কথা, সদাই চিন্তাপথে আসিতে লাগিল। ঠাকুরের পত্রখানি দিনে শতবার খুলি ও পড়ি; এইরূপে দিন কাটিতে লাগিল।
সেই সময় আমাদের বাটীতে প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার নাম কীর্ত্তনের ব্যবস্থা হইল; অনেক ভক্তগণ- বিশেষত ঠাকুরের ভক্তগণ- সেই আনন্দে যোগ দিতে আসিতেন। একদিন খুব আনন্দ কীর্ত্তন হইতেছে আর আমিও আনন্দে বিভোর হইয়াছি, এমন সময় প্রভুর জন্যে প্রাণ কাঁদিয়া উঠিল- আমি আকুল্ভাবে কাঁদিতে লাগিলাম। তখন উদ্দাম নৃত্য ও কীর্ত্তন হইতেছিল। দেখিলাম- প্রভু যেন কীর্ত্তনে উপস্থিত হইয়াছেন! সন্দেহ হইল- ভাল করিয়া দেখিলাম- সত্যই তো, প্রভুও উদ্দণ্ড নৃত্য করিতেছেন!! আমি তখন “এই যে দয়াময় প্রভু” বলিয়া যেমনি তাঁহাকে ধরিতে যাইলাম অমনি চৈতন্য হারাইলাম এবং ঐ স্থানে পড়িয়া রহিলাম। বহুক্ষণ পরে জ্ঞান হইল; দেখিলাম আরও অনেক ভক্ত পড়িয়া আছেন। আর সকলেই বলিতেছেন অদ্যকার আনন্দের মত আনন্দ আর কোনদিন হয় নাই! আজ যেন প্রভু যথার্থই কীর্ত্তনে উদয় হইয়া নৃত্য করিয়াছিলেন! তাঁহাদের সেইরূপ কথা শুনিয়া আমার হৃদয়ে যাহা কিছু সন্দেহ ছিল সমস্তই দূর হইল।
কয়েকদিবস পরে প্রভুর এক পত্র পাইলাম; লিখিয়াছেন- “গত শনিবারে কীর্ত্তনে বড়ই আনন্দ পাইয়াছি। প্রভু করুন তোমরা ঐরূপে প্রভুর নাম জয়যুক্ত কর ও প্রেমানন্দে ভাসিয়া যাও”।
**হরনাথ স্মৃতিঃ সপ্তম লহরী হইতে উদ্ধৃত।